জুমার দিনের ফজিলত আমল ও আদব-আসরাফ আলী থানভী (রাহ.)
১. প্রত্যেক মুসলমানেরই বৃহস্পতিবার দিন (শেষ বেলা) থেকেই জুমুআর জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত। বৃহস্পতিবার আসরের পর দরূদ, ইসতিগফার ও তাসবীহ-তাহলীল বেশি করে পড়বে। পরিধানের কাপড় ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখবে। ঘরে সুগন্ধি না থাকলে, যদি সম্ভব হয় সে দিনই আনিয়ে রাখবে, যাতে জুমুআর দিন এসব কাজে ব্যাপৃত হতে না হয়।
পূর্ববর্তী বুযুর্গানেদীন বলেছেন যে, জুমুআর ফায়েদা সবচেয়ে বেশি সে ব্যক্তি পায়, যে জুমুআর প্রতীক্ষায় থাকে এবং বৃহস্পতিবার হতে জুমুআর প্রস্তুতি গ্রহণ করে। আর সবচেয়ে বেশি হতভাগা সেই ব্যক্তি, যে এটাও জানে না যে,
জুমুআ কবে? এমন কি, জুমুআর দিন সকাল বেলায় লোকজনের কাছে জিজ্ঞেস করে যে, আজ কি বার? কোন কোন বুযুর্গ ব্যক্তি জুমুআর প্রতি বেশি যত্নশীল হওয়ার উদ্দেশ্যে (বৃহস্পতিবার দিন গত) জুমুআর রাত্রে জামে মসজিদেই গিয়ে থাকতেন। (ইহয়াউল উলূম, ১খ, পৃ. ১৬১)
২. জুমুআর দিন গোসল করবে; মাথার চুল ও শরীর ভালভাবে পরিষ্কার করবে। এদিন মিসওয়াক করাও অধিক ফযীলতের কাজ। (প্রাগুক্ত)
৩. জুমুআর দিন গোসল করে যার কাছে যেরূপ উত্তম পোষাক আছে, তা পরিধান করবে। সম্ভব হলে সৃগন্ধি লাগাবে এবং নখ ইত্যাদি কেটে নেবে।(প্রাগুক্ত)
৪. জামে মসজিদে খুব সকালে যাবে। যে যত সকালে যাবে সে তত অধিক ছওয়াব যাবে। নবী (সা.) বলেন, জুমুআর দিন ফেরেশতাগণ জামে মসজিদের দরজায় দণ্ডায়মান থাকে এবং যে প্রথমে আসে তাকে প্রথমে, যে তারপর আসে তাকে দ্বিতীয় নম্বরে,
এভাবে ক্রমানুসারে তাদের নাম লিপিবদ্ধ করে নেয়। যে প্রথমে আসে সে আল্লাহর রাস্তায় একটি উট কুরবানী করার সমান ছওয়াব পায়; যে তারপর আসে সে একটি গরু কুরবানী করার সমান ছওয়াব পায়। (যে তৃতীয় নম্বরে আসে সে একটি বকরী কুরবানী করার সমান ছওয়াব পায়।)
তারপর যে আসে সে আল্লাহর রাস্তায় একটি মোরগ যবাহ করার সমতুল্য ছওয়াব পায়। অতঃপর যে আসে সে আল্লাহর রাস্তায় একটি ডিম দান করার সমতুল্য ছওয়াব পায়। তারপর যখন খুতবা শুরু হয় তখন ফেরেশতাগণ সে খাতা বন্ধ করে দেন এবং খুতবা শুনায় ব্যাপৃত হন। (বুখারী ও মুসলিম)
পূর্ববর্তী যুগে জুমুআর দিন ভোর বেলায় ফজরের পর থেকেই শহরের রাস্তা ও অলিগলি লোকজনে পরিপূর্ণ দেখা যেত। সবাই এত ভোরে জামে মসজিদে যেত মানুষের ভিড়াভিড়ি হত প্রচণ্ড, যেমন ঈদের দিন হয়ে থাকে। এরপর যখন এ রীতি মুসলমানদের থেকে ক্রমশ লোপ পেতে থাকল তখন লোকেরা বলল যে, ইসলামের মধ্যে এই প্রথম বিদআত জারি হল। ১.
এ পর্যন্ত লিখে ইমাম গাযালী (রহ.) বলেন, মুসলমানরা ইহুদী ও খৃষ্টানদের দেখে কেন লজ্জিত হয় না? তারা তাদের ইবাদতের দিন অর্থাৎ, ইহুদীরা শনিবারে ও খৃষ্টানরা রোববারে তাদের উপাসনালয় ও গির্জাগৃহে কত ভোর বেলায় যেয়ে থাকে এবং ব্যবসায়ীরা কত ভোর বেলায় বেচা-কেনার জন্য বাজারে যেয়ে উপস্থিত হয়। অতএব, দীনের অনুসারীরা কেন দীনের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখে না। (ইহয়াউল উলূম)
আসলে মুসলমানরা এ যুগে এই বরকতময় দিবসের মর্যাদা একেবারে নিম্নস্তরে নামিয়ে দিয়েছে। তাদের এতটুকু খবরও থাকে না যে, আজ কোন দিন এবং তার কি-বা মর্যাদা? আক্ষেপের বিষয় যে, যে দিনটি এককালে মুসলমানদের নিকট ঈদের চেয়ে বেশি মর্যাদাবান ছিল,
যে দিনটির জন্য রাসূল (সা.)-এর গর্ববোধ ছিল এবং যে দিনটি পূর্ববর্তী উম্মতের ভাগ্যে জুটে নি, আজ মুসলমানদের হাতে সেই দিনটির এত অবমাননা ও অবহেলা হচ্ছে। আল্লাহ প্রদত্ত নেয়ামতকে এভাবে নষ্ট করা অত্যন্ত অকৃতজ্ঞতার পরিচায়ক, যার অশুভ ফলাফল আমরা নিজেদের চোখেই দেখছি। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আরো পড়ুন --শেষ সময়ে খোঁরাসানের কালো পতাকাবাহী বাহিনী
জুমার দিনের আমল
★জুমুআর নামাযে পায়ে হেঁটে গেলে প্রত্যেক কদমে এক বছর রোযা রাখার ছওয়াব পাওয়া যায়। (তিরমিযী শরীফ)
★নবী (সা.) জুমুআর দিন ফজরের নামাযে সূরা আলিফ লাম মীম সাজদা ও সূরা দাহ্য় (হাল আতা আলাল ইনসান) এ সূরা দু'টি পাঠ করতেন। এ জন্য এ সূরা দু'টি জুমুআর দিন ফজরের নামাযে মুসতাহাব মনে করে কখনও কখনও পড়বে। আবার কোন কোন সময় বাদও দেবে যাতে লোকেরা এটাকে ওয়াজিব মনে না করে।
★জুমুআর নামাযে নবী (সা.) সূরা জুমুআ ও সূরা মুনাফিকূন অথবা সূরা আ'লা ও সূরা গাশিয়া পড়তেন।
★অর্থাৎ, ভোর বেলায় মসজিদে গমন না করা। এখানে 'বিদআত' দ্বারা বিদআতের আভিধানিক অর্থ উদ্দেশ্য। তার মানে নতুন বিষয়। এখানে বিদআত দ্বারা শরঈ বিদআত উদ্দেশ্য নয়। শরঈ বিদআত হল, ইবাদত মনে করে দীনের মধ্যে নতুন কোন বিষয় উদ্ভাবন করা। এরূপ করা হারাম। জুমুআর দিন ভোর বেলায় মসজিদে না যাওয়া হারাম নয়।
★জুমুআর দিন জুমুআর নামাযের পূর্বে বা পরে সূরা কাহফ তিলাওয়াত করলে অনেক ছওয়াব পাওয়া যায়। নবী (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমুআর দিন সূরা কাফ পড়ে কিয়ামতের দিন আরশের নিচ থেকে আসমানের সমান উঁচু এক প্রকার নূর প্রকাশ পাবে। কিয়ামতের অন্ধকারে সে নূর তার কাজে আসবে এবং সে জুমুআ থেকে বিগত জুমুআ পর্যন্ত তার যত গুনাহ হয়েছে সবই মাফ হয়ে যাবে। (শরহে সিফরুস সাআদাত)
*সগীরা গুনাহ উদ্দেশ্য । কেননা, কবীরা গুনাহ তওবা ব্যতীত মাফ হয় না। (আল্লাহ তা'আলাই ভাল জানেন, তিনিই সকল দয়ালুর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দয়ালু।)
★জুমুআর দিন দরূদ শরীফ পড়লেও অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি ছওয়াবপাওয়া যায়। এজন্যই হাদীস শরীফে জুমুআর দিন বেশি বেশি দরূদ শরীফ পড়ার হুকুম দেওয়া হয়েছে।
জুমার নামাযের ফযীলত ও তাকীদ
জুমুআর নামায ফরযে আইন। কুরআন মজীদ, মুতাওয়াতির হাদীস ও আইম্মায়ে উম্মতের ইজমা দ্বারা প্রমাণিত। এটা ইসলামের এক মহান প্রতীকী ইবাদত। জুমুআর নামায অস্বীকারকারী ব্যক্তি কাফির এবং ওযর ব্যতীত তরককারী ব্যক্তি ফাসিক।
يايها الذين أمنوا إذا نودي للصلوة من يوم الجمعة فاسعوا
الى ذكر الله وذروا البيع ذلكم خير لكم إن كنتم تعلمون.
অর্থাৎ, হে মুমিগণ! যখন জুমুআর দিন (জুমুআর) নামাযের আযান হয় তখন তোমরা আল্লাহর যিকরের দিকে ধাবিত হও এবং বেচা-কেনা পরিত্যাগ কর। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম; যদি তোমরা জান।১ (সূরা জুমুআ : ৯)
এ আয়াতে আল্লাহর যিকির" দ্বারা জুমুআর নামায ও জুমুআর খুতবা
উদ্দেশ্য। আর “ধাবিত হওয়া" মানে কালবিলম্ব না করে তৎক্ষণাৎ দুনিয়ার সবকাজ-কর্ম পরিত্যাগ করে বেশ গুরুত্ব সহকারে মসজিদে যাওয়া।
★ নবী (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমুআর দিন গোসল করে এবং যথাসম্ভব পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অর্জন করে, তারপর চুলে তেল লাগায় এবং খুশবু ব্যবহার করে জুমুআর নামাযের জন্য মসজিদে যায় এবং মসজিদে গিয়ে কাউকে তার জায়গা থেকে তুলে না দিয়ে যেখানে জায়গা পায় সেখানেই বসে এবং যে পরিমাণ নফল নামায পড়ার তার সৌভাগ্য হয়, পড়ে।
এরপর ইমাম যখন খুতবা দেন তখন চুপ করে খুতবা শোনে তবে তার বিগত জুমুআ থেকে এ জুমুআ পর্যন্ত যত (সগীরা) গুনাহ হয়েছে সব মাফ হয়ে যায়।
★ নবী (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমুআর দিন গোসল করে এবং ভোরে ভোরে পায়ে হেঁটে মসজিদে যায়, গাড়ি-ঘোড়া ব্যবহার না করে। এরপর খুতবা শোনে এবং এর মাঝে কোন অনর্থক কাজ না করে তবে সে তার প্রত্যেক কদমের বিনিময়ে পূর্ণ এক বছরের ইবাদতের অর্থাৎ, এক বছরের রোযা ও নামাযের ছওয়াব পাবে।(তিরমিযী শরীফ)
★ ইবনে উমর ও আবূ হুরায়রা (রা.) বলেন, আমরা নবী (সা.)-কে বলতে শুনেছি যে, মানুষ যেন জুমুআর নামায তরক করা থেকে বিরত থাকে। অন্যথায় আল্লাহ তা'আলা তাদের অন্তরে মোহর মেরে দেবেন। ফলে সে ভীষণ গাফিলতিতে নিমজ্জিত হয়ে যাবে। সহীহ মুসলিম)
বিনা ওযরে তিন জুমুয়া পরিত্যাগকারী সম্পর্কে
★নবী (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি তিনটি জুমুআ অলসতাবশতঃ অর্থাৎ, কোন ওযর ব্যতিরেকে তরক করে আল্লাহ তা'আলা তার অন্তরে মোহর মেরে দেন।
তিরমিযী শরীফ)
যেসব ব্যাক্তির জন্য জুমুআর নামাজ পড়তে হবে না-
★ তারেক ইবনে শিহাব (রা.) বলেন, নবী (সা.) বলেছেন, ক্রীতদাস অর্থাৎ, যে শরীয়তের নিয়ম মুতাবিক কারও মালিকানাধীন থাকে এবং মহিলা, নাবালেগ ছেলে ও অসুস্থ ব্যক্তি এ চার প্রকার লোক ব্যতীত প্রত্যেক মুসলমানের উপর জুমুআর নামায জামাআত সহকারে পড়া ফরয এবং আল্লাহর হক ।
(আবূ দাঊদ শরীফ)
★ইবনে উমর (রা.) বর্ণনা করেন যে, নবী (সা.) জুমুআর নামায তরককারীদের সম্পর্কে বলেছেন, আমার দৃঢ় ইচ্ছা হয় যে, কাউকে আমার স্থলে ইমাম নিযুক্ত করি, আর আমি গিয়ে তাদের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেই, যারা জুমুআর নামাযে হাজির হয় না।
(সহীহ মুসলিম)
এ বিষয়ের হাদীস জামাআত তরক করার ব্যাপারেও বর্ণিত হয়েছে। যা ইতঃপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।
★অন্য এক হাদীসে বলা হয়েছে যে, ইমাম যখন মিম্বরের উপর এসে বসবে তখন থেকেই নামায পড়াও কথা বলা না জায়েয। এটাই ইমাম আবূ হানীফা (রহ.)-এর অভিমত।
আল্লাহ না করুন, আল্লাহর পক্ষ থেকে যার উপর গাফিলতি চেপে বসে, তার পক্ষে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়া বড়ই কঠিন ব্যাপার।
দৃঢ় ইচ্ছা হয়েছিল, কিন্তু তাদের অন্যান্য কল্যাণ বিবেচনা করে তিনি তা বাস্তবায়ন করেন নি।
ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, নবী (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন ওযর ব্যতিরেকে জুমুআর নামায তরক করে তার নাম মুনাফিকদের তালিকায় লিপিবদ্ধ করে দেওয়া হয়, যা পরিবর্তন ও পরিমার্জন থেকে সম্পূর্ণ সংরক্ষিত।
(মিশকাত শরীফ) অর্থাৎ, তার উপর নেফাকের অভিযোগ সর্বদা থাকবে। অবশ্য যদি সে তওবা করে অথবা সর্বোত্তম দয়ালু আল্লাহ কেবল নিজ অনুগ্রহে ক্ষমা করে দেন তবে সেটা ভিন্ন কথা।
৯. জাবির (রা.) নবী (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ তা'আলার প্রতি ও কিয়ামতের প্রতি বিশ্বাস রাখে তার উপর জুমুআর দিন জুমুআর নামায পড়া ফরয; কেবল অসুস্থ, মুসাফির, মহিলা, অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে এবং ক্রীত দাস ব্যতীত। অতএব, কেউ যদি কোন অযথা কাজে বা ব্যবসায়িক কাজে লিপ্ত হয়, তবে আল্লাহ তা'আলাও তার প্রতি বিমুখতা প্রদর্শন করেন।২ আর তিনি তো অনপেক্ষ ও প্রশংসিত। (মিশকাত শরীফ)
অর্থাৎ, তিনি কারও ইবাদতের পরওয়া করেন না এবং এতে তার কোন ফায়েদাও নেই, তিনি সর্বগুণে গুণান্বিত। কেউ তার প্রশংসা ও গুণকীর্তন করুক বা না করুক।
১০. ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি পরপর কয়েক জুমুআ তরক করল সে যেন ইসলামকে তার পশ্চাতে নিক্ষেপ করল।
(আশি'আতুল লুম'আত)
১১. জনৈক ব্যক্তি ইবনে আব্বাস (রা.)-কে জিজ্ঞেস করল যে, এক ব্যক্তি মারা গেছে, সে জুমুআ ও জামাআতে শরীক হত না। তার সম্পর্কে আপনার কি অভিমত ? তিনি উত্তরে বলেন, সে জাহান্নামে যাবে। এরপর প্রশ্নকারী লোকটি তাকে এক মাস যাবৎ রোজ এ প্রশ্ন করতে থাকে এবং তিনিও এ জওয়াবই দিতে থাকেন। (ইহয়াউল উলূম)
উপরিউক্ত হাদীসমূহের প্রতি সাধারণ দৃষ্টিতে তাকালেও সহজেই এ কথা বুঝে আসে যে, শরীয়তে জুমুআর নামাযের প্রতি কঠোর তাকিদ রয়েছে। জুমুআর নামায তরককারীদের ব্যাপারে কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারিত হয়েছে। সুতরাং এখনও কি কোন ব্যক্তি নিজেকে মুসলমান দাবি করে এ ফরয তরক করার মত দুঃসাহস করতে পারে ?
★ তার মানে এ নয় যে, সে প্রকৃত অর্থে মুনাফিক অর্থাৎ, কাফির হয়ে যাবে; বরং এর মানে এটা মুনাফিকসুলভ কাজ এবং এরূপ করা গুনাহ।
★অর্থাৎ, তার প্রতি সযত্ন দৃষ্টি দেন না। তিনি তো বেপরওয়া আছেনই, উপরন্ত তিনি কারও থেকে উপকৃত হন না এবং তিনি কারও মুখাপেক্ষী নন। যে ভাল কাজ করে সে নিজের কল্যাণেই করে। সুতরাং বান্দা যখন নিজের কর্মদোষে জাহান্নামে যাওয়ার ব্যবস্থা করল তখন আল্লাহ তা'আলারও তাতে কোন পরওয়া নেই।