খোরাসানের কালো পতাকাবাহী বাহিনী
খোঁরাসানের কালো পতাকাবাহী বাহিনী
![]() |
| image-source-google-image by-wallpaperkiss |
#খোঁরাসানের কালো ঝান্ডাবাহী দল
عن ابن مسعود رضي الله عنه ، قال: بينما نحن عند رسول الله صلى الله عليه وسلم إذ قال: يجـئ
أصحاب رايات سود ، يسألون الحق فلا يعطون ، مرتين أو ثلاثا ، قوم من ههنا ، واشار بيده نحو المشرق فيقاتلون ، فينصرون فيعطون ما سألوا ، فلا يقبلونه حتى يدفعوه إلى رجل من أهل بيتي ، فيملؤها عدلا كما ملؤوها ظلما ، فمن أدرك ذلك منكم ، فلياتهم ولو حبوا على الثلج. (أبو عمرو الداني: 547)
অনুবাদ- হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন- একদা আমরা নবী করীম সা. এর খেদমতে উপস্থিত ছিলাম, উনি বলতেছিলেন- ঐ দিক থেকে একটি দল আসবে হাত দিয়ে তিনি পূর্ব দিকে ইশারা করলেন- তারা কালো ঝান্ডাবাহী হবে। তারা সত্যের (পূর্ণ ইসলামী শাসনের) দাবী জানাবে, কিন্তু তাদেরকে দেয়া হবেনা।
দুইবার বা তিনবার এভাবে দাবী জানাবে, কিন্তু তখনকার শাসকগণ তা গ্রহণ করবেনা। অতপর তারা যুদ্ধ করে জয়ী হবে এবং তাদেরকে সত্য প্রদান করা হবে। কিন্তু তারা তা গ্রহণ করবেনা। শেষপর্যন্ত তারা (ইসলামী শাসনব্যবস্থার দায়িত্ব) আমার পরিবারস্থ (সৈয়দ বংশীয়) একজন লোকের হাতে সোপর্দ করে দেবে।
সে যমিনকে ন্যায় এবং নিষ্ঠার মাধ্যমে ভরে দেবে, ঠিক যেমন ইতিপূর্বে অন্যায়-অত্যাচারের মাধ্যমে ভরে দেয়া হয়েছিল। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যদি কেউ ঐ সময় জীবিত থাকো, তবে অবশ্যই তাদের দলে এসে শরীক হয়ে যেয়ো যদিও (দূরদুরান্ত এলাকা থেকে) বরফের উপর কনুইয়ে ভর দিয়ে আসতে হয়। (মুহাক্কিক আবূ আব্দুল্লাহ শাফেঈ হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন)
عن أبي هريرة عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال يخرج من خراسان رايات سود لا يردها مسند أحمد بن حنبل
"খোরাসান থেকে কালো পতাকাবাহী দল আত্মপ্রকাশ করবে। তাদেরকে কেউ বাধা দিতে পারবেনা। শেষপর্যন্ত তারা বাইতুল মুকাদ্দাসে এসে ঝান্ডা গেড়ে দেবে (খেলাফত প্রতিষ্ঠা করবে)। "
নবী করীম সা. এর যুগে খোরাসান বলতে ইরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে শুরু করে আফগানিস্থানের
অধিকাংশ এলাকা নিয়ে তাসখন্দ সমরখন্দসহ বুখারা পর্যন্ত এবং উত্তরে তুর্কেমেনিস্তানের অর্ধেক এলাকা
নিয়ে অবস্থিত বিশাল ভূমিকে বুঝানো হত। পাঠকদের বুঝার সুবিধার্থে নিম্নোক্ত ম্যাপে লাল বর্ণের সীমানা
দিয়ে খোরাসান চিহ্নিত করা হল :
হাদিস -
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: يا ابن حوالة إذا رأيت الخلافة نزلت الأرض المقدسة فقد دلت الزلازل والبلاء والأمور العظام والساعة يومنذ أقرب إلى الناس من هذه إلى راسك (ابن عساكر) كشرأخرجه ابن عساكرأ
নবী করীম সা. এরশাদ করেন- হে ইবনে হাওয়ালা। যখন তুমি দেখবে যে, বাইতুল মুকাদ্দাসে খেলাফত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। (জেনে রেখো) তখন অবশ্যই ভূমিকম্পন, বিপদাপদ এবং বড় বড় বিষয়গুলি নিকটে এসে গেছে। (সাহাবীর মাথার উপরে হাত নিয়ে রাসুল বললেন) তোমার মাথার থেকে আমার হাত যেমন নিকটবর্তী, কেয়ামত তখন এর চেয়ে বেশি নিকটবর্তী হয়ে গেছে মনে করবে।
ইতিহাসের গ্রন্থাদী অধ্যয়ন করার পর প্রতীয়মান হয় যে, রাসূলের যমানার পর থেকে বাইতুল মুকাদ্দাসে এ পর্যন্ত খেলাফত প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সুতরাং রাসূলে আরাবী সা. এর গোলামদের ঘাবড়ে যাওয়ার কোন কারণ নেই। বিজয় তাদের পায়ের তলায় এসেই উপস্থিত হবে। আল্লাহর যমিনে আল্লাহর শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবেই হবে। আর সে সময়ও অত্যন্ত নিকটবর্তী হয়ে গেছে। এর বহু নিদর্শন এখন থেকেই প্রকাশ হতে শুরু করেছে আলহামদুলিল্লাহ!!
হযরত হাসান রা. হতে বর্ণিত যে, নবী করীম সা. তার পরিবারস্থ (আহলে বাইত) লোকদের উপর আশু বিপদাপদের বর্ণনা দিচ্ছিলেন- শেষপর্যন্ত আল্লাহ পাক পূর্ব দিক থেকে কালো ঝান্ডাবাহী লোকদেরকে পাঠাবেন। যারা ঐ কালো ঝান্ডাবাহী লোকদেরকে সাহায্য করল, আল্লাহ তা'লাও তাকে সাহায্য করবেন। আর যে তাদেরকে ছেড়ে দিল (সাহায্য করলনা), আল্লাহ তা'লাও তাকে ছেড়ে দেবেন। অতপর ঐ কালো ঝান্ডাবাহী দল এমন এক ব্যক্তির কাছে আসবে যার নাম আমার নামের মত হবে। তারা ঐ ব্যক্তির উপর শাসনব্যবস্থার দায়িত্ব সোপর্দ করবে। সুতরাং আল্লাহ তা'লাও তাদেরকে সহযোগীতা করবেন।
(আলফিতান নুআইম বিন হামাদ ৮৬০) হাদিসটি মুরসাল।
عن عبد الله بن مسعود رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : تجن رايات سود من قبل المشرق وتخوض الخيل في الدماء إلى تندوتها.وفيه يزيد بن أبي زياد وهـو لين وبقية رجاله
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. হতে বর্ণিত, নবী করীম সা. এরশাদ করেন- পূর্ব দিক থেকে অবশ্যই কালো পতাকাবাহী দল আসবে। ঘোড়ার সীনা পর্যন্ত রক্তে ডুবন্ত থাকবে। খালেদ বিন মা'দান রা. বলেন- রমযান মাসে যখন তোমরা পূর্ব দিকের আকাশে আগুনের শিখা দেখতে পাবে, তখন যতটুকু খাদ্য সংগ্রহ করে রাখা দরকার, রেখে দিয়ো। কেননা, ঐ বৎসরটি দুর্ভিক্ষের বৎসর হবে।
আলফিতান-নুআইম বিন হাম্মাদ : ৬২৭)
#আগুনের শিখা দ্বারা কি উদ্দেশ্য ??!!
অন্যান্য বর্ণনায় এমন সব শব্দ বর্ণিত হয়েছে, যা সর্বশেষ যুদ্ধগুলোতে ব্যবহৃত ভয়ানক অস্ত্র-সস্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করে।
উমর বিন মুররাহ আল জামালী রা. (রাসূলের প্রখ্যাত সাহাবী) বলেন- অবশ্যই খোরাসানের দিক থেকে কালো ঝান্ডাবাহী দল আত্মপ্রকাশ করবে। এমনকি তাদের ঘোড়াগুলি ঐ সকল যাইতূন বৃক্ষের সাথে বাধা হবে, যেগুলি لهيا এবং حر ستا এর মধ্যবর্তী এলাকায় অবস্থিত।
(শ্রবণকারী) জিজ্ঞাসা করলেন- উভয় এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে তো কোন যাইতূন বৃক্ষ নেই! উমর বলেন- ওখানে যাইতূন বৃক্ষ পরবর্তীতে রূপন করা হবে। শেষপর্যন্ত কালো ঝান্ডাবাহী দল আসবে এবং তাদের ঘোড়াগুলো যাইতূন বৃক্ষের সাথে বেঁধে রাখবে।
(আলফিতান নুআইম বিন হাম্মাদ : ৮৬১) বর্ণনাটিতে ওলীদ বিন মুসলিম রাবী বিদ্যমান। আর সে عن দ্বারা বর্ণনা করেছে বিধায় বর্ণনাটি ضعيف
মুহাম্মদ বিন হানাফিয়্যা রহ. বলেন- বনূ আব্বাস থেকে ঝান্ডাবাহী দল বের হবে। অতপর খোরাসান থেকে কালো ঝান্ডাবাহী অন্য আরেকটি দল আত্মপ্রকাশ করবে। তাদের টুপি (পাগড়ী) গুলো কালো বর্ণের হবে এবং জামা সাদা বর্ণের হবে। তাদের সম্মুখভাগে এক ব্যক্তি নেতৃত্বে থাকবে, যাকে শুআইব বিন সালেহ বিন শুআইব বলে ডাকা হবে। ঐ ব্যক্তিটি বনূ তামীম গোত্রের হবে। তারা (কালো পতাকাবাহী দল) সূফয়ানী'র সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে দেবে। শেষপর্যন্ত তারা বাইতুল মুকাদ্দাসে এসে উপস্থিত হবে এবং তাদের নেতৃত্ব ইমাম মাহদীর হাতে সোপর্দ করে দেবে। তাদের কাছে শামের দিক থেকে তিনশত ক্যামিক আসবে। এদের বের হওয়া এবং মাহদীর হাতে নেতৃত্ব সোপর্দ করার মাঝে বাহাত্তর (৭২) মাসের ব্যবধান
হবে। (আলফিতান-৮৫১) বর্ণনাটিতে ওলীদ বিন মুসলিম عن দ্বারা রেওয়ায়েত করেছে। এছাড়াও হাদিসটিতে আব্দুল করীম বিন আবি মাখারিক বর্ণনাকারী বিদ্যমান, আর সে ضعيف
#খোঁরাসানের কালো পতাকাবাহী বাহিনী সম্পর্কে অন্য একটি হাদিস-
হযরত আবু শাওযা হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন আমি হযরত হাসান রা, এর নিকট ছিলাম। তখন তিনি হিমস সর্ম্পকে আলোচনা করলেন। অতপর তিনি বললেন তারা প্রথম পান্ডুলিপি অনুযায়ী অনেক ভাগ্যবান। আর দ্বিতীয় পান্ডুলিপি অনুযায়ী অনেক দূর্ভাগ্যবান। তিনি বলেন অতপর আমরা বললাম হে আবু সাঈদ! দ্বিতীয় পান্ডুলিপি কি? তিনি উত্তরে বললেন পূর্বদিক হতে আশ হাজার লোকের মধ্যে আবুত তহয়ী বের হবে। ডালিমের প্রতি ভালবাসার মত তাদের অন্তর তার প্রতি বিশ্বাসের ভালবাসা পরিপূর্ণ থাকবে। প্রথম পান্ডুলিপির ধ্বংশ করাটা তাদের হাতই থাকবে।** সুফইয়ানীর অধ্যায়ের পরিসমাপ্তির প্রারম্ভিক। খোরাসান হতে কালো ঝান্ডা সহ তার সাথীদের নিয়ে আত্মপ্রকাশ। আর তাদের মাঝে কি ঘটবে। এমনকি সুফইয়ানীর সৈন্য পূর্বাঞ্চলে পৌছে যাবে।
খোরাসানের কালো পতাকাবাহী বাহিনী সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে Playstore থেকে download করুন আল ফিতান-নুআইম বিন হাম্মাদ।
আরো পড়ুন-মৃত ব্যক্তির গোসলের নিয়ম-পুরুষ নারী শিশুর কাফন-জানাযার নামাজের শর্ত-

