রুহ কি ? রূহু শব্দের তাৎপর্য-
রুহ কি ? রূহু শব্দের তাৎপর্য।
আরো পড়ুন -
সমতূল্য। কেহ বলেন, রূহু ফেরেশতাদের একটি বিশিষ্ট দল যাহারা শুধু শবে কদরে অবতীর্ণ আবার কেহ বলেন, একটি ভিন্ন মাখলুক তবে তাঁহারা মানুষ ও নন ফেরেশতা ও নন। অনেকেই বলেন, রূহু অর্থ হজরত ঈছা (আঃ) যিনি উম্মতে মোহাম্মাদীর আমল দেখিবার জন্য দুনিয়াতে অবতীর্ণ হন। আবার কেহ বলেন, উহার অর্থ খাছ রহমত যাহা শুধু ঐ রাত্রেই অবতীর্ণ হয়। বায়হাকী শরীফে আছে, ঐ রজনীতে হজরত জিব্রাঈল (আঃ) ফেরেশতাদের বিরাট বাহিনী নিয়া অবতীর্ণ হন এবং যাহারা এবাদতে লিপ্ত হয় তাহাদের জন্য রহমতের দোয়া করিতে থাকেন।
“আপন পরওয়ারদেগারের আদেশে প্রত্যেক পুণ্য বস্তু নিয়া দুনিয়াতে অবতীর্ণ হন।”
বর্ণিত আছে, এই রাত্রে ফেরেশতাদের জন্ম হইয়াছে । এবং আদমের দেহ গঠনের সূত্রপাত হয়। এই রজনীতেই জান্নাতে বৃক্ষ লাগানো হইয়াছে ।। দোয়া কবুল হওয়ার তো ভুরি ভুরি প্রমাণ রহিয়াছে। আরও বলা হয়, এই রাত্রে হজরত ঈছা (আঃ) আছমানে উঠেন। বনি ইস্রাঈলের সকল পাপ ক্ষমা করা হয়।
সে রজনী শুধু শান্তি আর শান্তি অর্থাৎ ফেরেশতাদের তরফ হইতে মোমেনদের উপর শুধু বারে বারে শান্তির বাণী বৰ্ষিত হইতে থাকে ।
هي حتى مطلع الفجرة
“ফজর পর্যন্ত সেই রহমত বর্ষিত হইতে থাকে।” শবে কদরের ফজীলত সম্পর্কে এখানে কয়েকটি হাদীছ বর্ণনা করা হইয়াছে
হাদীছ
(د) عن أبي هريريرة متقال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من قام ليلة القدر إيمانا واحتسابا غفر له ما تقدم من ديه
(بخاری ومسلم
অর্থঃ হুজুরে পাক (ছঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি শবে ক্বদরে আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখিয়া পুণ্যের আশায় এবাদত করে তাহার পূর্ব কৃত সমস্ত পাপ মা'ফ করিয়া দেওয়া হয়। (বোখারী মুছলিম)
এখানে নামাজ, তেলাওয়াত জিকির সবরকম এবাদত বুঝানো হইয়াছে। পুণ্যের আশায় অর্থাৎ রিয়া ও বদ নিয়ত যেন না হয়। ইমাম খাত্তাবী (রহঃ) বলেন, ছওয়াবের একিন করিয়া অন্তরের সন্তুষ্টি সহকারে দণ্ডায়মান হইবে। তবেই তো কষ্ট ক্লেশ আহ্বান হইয়া যাইবে।
উল্লেখিত হাদীছে ছগীরা গোনাহকে বুঝানো হইয়াছে। কবীরা গোনাহের জন্য কোরআনের ভাষায় তওবার প্রয়োজন। এরশাদ হইছে - হাদীছে কবীরা গোনাহের উল্লেখ এই জন্য হয় নাই যে, মোমেন লোক হইতে কবীরা গোনাহ হইতেই পারে না। আর যদি ভুল বশতঃ হইয়াই যায় তবে সঙ্গে সঙ্গে তওবা করিয়া সে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে।
